আমরা অনেকেই ব্যবসায় করতে চাই । কিন্ত কিভাবে ব্যবসায়ে সফলতা অর্জন করা যায় অর্থাৎ কিভাবে ব্যবসা করলে সফল হতে পারি তা আমরা অনেকেই জানি না। আজ আমরা জানব ব্যবসায়ে সফলতা অর্জনের কৌশলসমূহ অর্থাৎ কিভাবে ব্যবসা করলে সফল হতে পারি।Techniques are adopted for success in Business
প্রিয় পাঠক, আমরা সর্বদা সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে থাকি।সুতরাং সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
ব্যবসায়ে সফলতা অর্জনের কৌশলসমূহ Techniques are adopted for success in Business
বর্তমান যুগ প্রতিযোগিতার যুগ। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। আর ব্যবসায় জগতে ব্যবসায় গঠন ও পরিচালনায় দক্ষতা প্রদর্শন করেই তাকে সাফল্যের চাবিকাঠি হাতের মুঠোয় কব্জা করতে হবে। ব্যবসায়ীর দক্ষতা মূলত প্রয়োজনের সাথে সঙ্গতি রেখে যথাসময়ে উপযুক্ত কৌশলটি ব্যবহার করাকে বোঝায়। ব্যবসায়ে সফলতা অর্জনের কৌশলসমূহ অর্জনের জন্য একজন ব্যবসায়ীকে কতিপয় কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এসব কৌশলের আলোচনা নিম্নরূপ :

ব্যবসায়ে সফলতা অর্জনের কৌশলসমূহ;
১. আয় বুঝে ব্যয় করা ; সকল ব্যবসায়ীকে সর্বদা আয় বুঝে যায় নীতির শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। ব্যবসায়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ব্যয় করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর সফলতা হাতের মুঠোয় আনার জন্য তাকে এ কাজ করতে হবে।একবার ব্যয় বাড়ানো হলে তা কমানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। ব্যবসায়ের সকল ক্ষেত্রে মিতব্যয়িতা অর্জন করতে পারলেই সোনার কাঠি হাতে এসে পড়বে।
২। ভেবে-চিন্তে কাজ করা; একজন ব্যবসায়ীকে যে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ এবং কাজ শুরুর প্রাক্কালে সে বিষয়ের উপর ভালো মন্দ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আবেগজড়িত না হয়ে এবং আগামী দিনের প্রতি দৃষ্টিপাত না রেখে হাত দিলে তা সুফল অপেক্ষা কুফলই বেশি বয়ে আনবে। এতে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
৩। সময়ের সহাবস্থার; প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায় জগতে সময় অত্যন্ত মূলাৰাম। আর ব্যবসায়ের মালিক শ্রমিক সবারই সমরেন এবং ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়” প্রবাদটি মনে রাখা প্রয়োজন। ব্যবসায়ীকে আরও স্বরণ রাখতে হবে। “Time is money
৪। আলাদা সত্তা: একজন ব্যবসায়ীকে সর্বদা মনে রাখতে হবে যে, ব্যবসায়ের একটি পৃথক সত্তা রয়েছে। ব্যবসায়ের লেনদেনকে তার সংসারের খরচের সাথে যুক্ত করা হলে সমস্যা এবং বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। তাই তার ব্যক্তিগত আয় যায় এবং ব্যবসায়ের আয়-ব্যয়কে পৃথকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। এরূপ ব্যবস্থা গৃহীত হলে সে বুঝতে পার ব্যবসায় তার বিরূপ মুনাফা অর্জিত হচ্ছে।
৫।নিত্য তদারকি: ব্যবসায় সফলতা অর্জনের প্রথম উপকরণ হলো তদারকি। আমার উপর সম্পূর্ণ নির্ভর না করে ব্যবসায়ের মালিককেই লেনদেন থেকে শুরু করে সব কাজের তদারকি করতে হবে। ব্যবসায়ের আয়তন যাই হোক ন কেন, এর গুরত্বপূর্ণ কাজগুলো ব্যবসায়ীকে ব্যক্তিগতভাবে পরিদর্শন ও সম্পাদনের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। কেননা, কর্মচারীদের উপর অধিক নির্ভরশীলতা যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৬। ব্যবসায়ের কাজকে অধিক প্রাধান্য দেয়া : একজন ব্যবসায়ীকে ব্যবসায়ের কাজকে অধিক প্রাধান্য দিতে হবে। তাকে মনে-প্রাণে ব্যবসা করতে হবে। তার মনোভাব দোদুল্যমান হলে বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে সফলতা অর্জন। করা দুরূহ হয়ে পড়বে। তাই ব্যক্তিগত অন্যান্য প্রয়োজন ও কাজের উপর ব্যবসায়ের প্রয়োজনকে সব সময় প্রাধান্য দেয়া প্রয়োজন।
৭।ধার বা বাকি থেকে দূরে থাকা: বর্তমানে বড় ধরনের ক্রয় বিক্রয় ধারে সংঘটিত হলেও সেখানে ব্যাংকারের গ্যারান্টি থাকে। তাই খুচরা ব্যবসায়ীদেরকে বাকিতে পণ্য বিক্রয় এড়িয়ে চলতে হবে। আর যদি বাকিতে পণ্য বিক্রয় করতেই হয়, ক্রেতা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে তবেই ধারে বিক্রয় করতে হবে। আর তাকে ধার কমিয়ে রাখা এবং ধা্রে বিক্রিত পনের মূল্য দ্রুত আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮। ব্যক্তিত্ব বজায় রাখা : ব্যবসায়ীকে সর্বদা আকণিীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে হবে। তার কথাবার্তা, আচার-আচরণ প্রাণবন্ত অথচ উন্নতমানের হতে হবে। যে কোনো সমস্যা বা পরিস্থিতি মোকাবেলার মতো ধৈর্য থাকতে হবে। তবে এসবের মধ্যেও তাকে সর্বদা হাসি-খুশি থাকতে হবে।ফলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণ তার প্রতি আকৃষ্ট হবে ।
৯। বিশেষ সম্পর্ক এড়িয়ে চলা : ব্যবসায় পরিচালনায় সর্বদাই তাকে ব্যবসায়ী মন নিয়ে থাকতে হবে। ব্যবসায় লেনদেনে বন্ধুত্ব , আত্মীয়তা প্রভৃতি বিবেচনায় আনা যাবে না। পারিবারিক সম্পর্ক পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে; এ সম্পর্কে ব্যবসায় টেনে আনলে ভাতে মুফল অপেক্ষা কৃষ্ণলেরই সম্ভাবনা বেশি।
১০। সজাগ দৃষ্টি: ব্যবসায় এর অভ্যন্তরীণ বিষয়ের সাথে বাইরের বিভিন্ন অবস্থা সম্পর্কে একজন ব্যবসায়ীকে সর্বদা চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।খবরাদি ঠিকমতো সংগ্রহ করা না হলে প্রয়োজনের সময় সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হবে না, এতে ব্যবসায়ের ক্ষতিসাধন হবে।
১১। গোপনীয়তা রক্ষা: ব্যবসায়ের আয়তন ছোট হোক বা বড় হোক ব্যবসায়ের গোপনীয়তা ব্যবসায়ীকে সর্বদাই রক্ষা করে। চলতে হবে। এসব গোপনীয়তা বলতে পুঁজির পরিভাগ, পণ্য ক্রয়ের স্থান, পণ্যের জন্যমূল্য, ভবিষ্যত কর্মসূচি, ব্যবসায়ের বর্তমান অবস্থা প্রভৃতিকে বুঝায়

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে, একজন ব্যবসায়ীকে উল্লিখিত বৈশিষ্টের অধিকারী হতে হবে। এসব বৈশিষ্ট্যমি বাক্তি বা ব্যক্তিবর্গই ব্যবসায়ে সফলতা অর্জন করতে পারবে।
নিয়মিত আপডেট তথ্য পেতে যুক্ত থাকুন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে , ক্লিক করুন নিচের ক্লিক বাটনে
ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যসমূহ , ব্যবসায় পরিচিতি ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন